lockdown er upokarita part 2 27-06-2020
লোকডাউন এর কিছু উপকারিতা পর্ব -২
সেইদিন আমার আর মায়ের সুলুক এর আওয়াজে বাবা জোরে জোরে হাঁসতে শুরু করে দিলো , মা মৃদু হেঁসে বললো কি ব্যাপার হাঁসার কি আছে এতো । বাবা বোলো না না কিছুই না চাঁদ টাকে বেশ সুন্দর লাগছে তাই না মা বলো যাক এতো দিনে চাঁদ টাও একটু প্রায়োরিটি পেলো তাহলে নাহলে এতো দিন তো শুধু সায়েন্টিস্ট রাই ওকে নিয়ে ভাবতো আর দেখতো তবুও আজ মানুষ দেখতে পাচ্ছে। ...... কথাটা শুনে আমার মনে হলো সত্যি তো ছোটবেলায় এই চাঁদ নিয়ে কত গল্প শুনতাম অপেক্ষা করতাম কখন উঠবে চাঁদ আর উঠলে তাকিয়েই থাকতাম এক পলকের জন্যও চোখ সরাতুম না পাছে যদি চাঁদ লুকিয়ে যাই , প্রথম প্রেমের অনুভূতি যখন হয়েছিল তখন ও এই চাঁদ ই ছিল , তারপরে হঠাৎ ব্যাস্ততার ভিড়ে ভুলে গেলাম এই চাঁদ কেই , বা আর্টিফিশিয়াল লাইট এর আলোকে চাঁদ এর জোৎস্না মহত্ব হারিয়ে গেলো ।
" চাঁদ উঠেছে ফুল ফুঠেছে কদম তলায় কে ,
হাতি নাচছে , ঘোড়া নাচছে সোনামনির বিয়ে "
আচ্ছা কোনো দিন বাবাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছো। . বাবা তোমার কাজ কেমন চলছে , চিন্তা করছো নাতো বেশি টাকা পয়সা নিয়ে , তোমার শরীর ঠিক আছে তো , মানসিক ভাবে শান্তিতে আছো তো , হয়তো বা অনেকেই করে জিজ্ঞেস কিন্তু যারা করে না তাদের বলছি করে দেখো এই লোকডাউনে বাবার যে টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যা কিভাবে দিন কাটবে এইসব উনি কিছুক্ষনের জন্য হলেও ভুলে যাবেন বা তোমার সাথে শেয়ার ও করতে পারেন তার টেনশন ।
গান হ্যাঁ অনেকেই খুব ভালোবাসে গান গাইতে আর শুনতে তো সবাই ভালোবাসে , ছোটবেলার কেনা হারমোনিয়াম তা হয়তো বা ধুলো মেখে ঘরের এক কোনে পরে আছে আবার কারোর বা হারমোনিয়াম এর হাত ধরে গানের জগতে নাম ডাক ও হয়েছে। কেউ বা স্বপ্ন দেখছে বড় সিঙ্গার হবার , আবার অনেকেই আফসোস আছে গানটাকে ছেড়ে দেয়ার , দূরে কোথাও হারমোনিয়াম দেখলে মনটা কেঁদে ওঠে বারবার বলে পারতিস নাকি একবার জোর করে আমাকে ধরে রাখতে , আমাকে ভালোবেসে এভাবে ছেড়ে দিলি ভালো আছিস তো আমাকে ছেড়ে , তবে যদি কোনো দিন আমার কাছে ফিরে আস্তে চাস তাহলে কিছু না ভেবে চলে আসিস কিন্তু আমি মুখ ফিরিয়ে নেবো না আমিও তাকে ভালোবাসি যে আমাকে ভালোবেসে তার সুরে আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নেই । কি গাইবেন নাকি আরো একবার। ......
কতদিন হলো দেখা হয়নি তার সাথে ?? অনেক দিন তাই না , তার সেই মায়াবী চোখ , তার সেই মন ভালো করা হাঁসি , কোথায় কোথায় মুখ ফোলানো । দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ একসাথে গলি তে দাঁড়িয়ে ফুচকাটা আর খাওয়া হয় না । কাউকে কারোর জন্য অপেক্ষা করতে হয় না তাই দেরির জন্য জগড়াটাও আর আজ হয় না । তার জন্মদিন তা এই বছরে আর সেলেব্রেট করা হলো না । ফোনের এপার আর ওপার মধ্যে দুজনের অনুভূতি গুলো আঁটকে গেছে ।অপেক্ষায় প্রহর গুনছে কবে আবার প্রেমের দিন গুলো ফিরে আসবে কবে আবার তার আলিঙ্গন এ সব দুরুত্ব মিটে যাবে ।
टिप्पणियाँ
एक टिप्पणी भेजें