संदेश

                                                  SAVINGS  চলছে জীবন স্রোতের মতন , জানি না কোথায় শেষ এর, কিন্তু বাঁচার জন্য প্রয়োজন যে ওই কাগজে ছাপানো কিছু  নোটের , আজ খাটলে তবে যে কাল খাওয়া হবে , মধ্যবিত্ত দের আবার সেভিংস হবে কবে । জমাতে গেলে যে উপোষ যেতে হবে , আর পেট ভোরে খেতে গেলে সেভিংস এর স্বপ্ন কে স্বপ্নই বানিয়ে রাখতে হবে ।      কথায় আছে নুন আন্তে পান্তা ফুরোয় কথাটা খুব বেশি ঠিক না হলেও খুব বেশি ভুল ও না , নুন দিয়েই পান্তা তা খাওয়া হয় বাকি কিছু নাহয় নাই বা পেলো ।  মাসের শেষে বুঝতে পারা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় চলবে কি ভাবে বাকি দিন কটা কেন কি স্যালারি পেতে যে আরো অপেক্ষার বাকি । খাওয়া , পরা , থাকার বাড়ি , বেশ এইটুকু তেই বেঁচে আছে মাধবিত্ত দের জীবন । সেভিংস নাম টা শুধু ব্যাঙ্ক এর সেভিংস একাউন্ট এর মধ্যেই সীমাবদ্ধন হয়ে রয়ে গেছে  স্বপ্ন সত্যি হয় যখন জমানো টাকায় ছেলে বা মেয়ে একটু এডুকেশন নিতে পারে তারাই হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র আশার আলো , কিন্তু ভরসা থাকলেও সেই আলো জীবনকে আলোকিত করবে নাকি অন্ধকার এ থেকে যাবে তার গ্যারান্টী কেউ বলতে পারে না ।

dreams versus reality

                          স্বপ্ন ভার্সেস বাস্তবতা  কি যেইটা সত্যি হয়না সেটাই স্বপ্ন আর যেইটা মানা কঠিন সেটাই বাস্তবতা ? কম বেশি আমরা সবাই এই সত্যির সাথেই অবগত। .... কিন্তু স্বপ্নের সংজ্ঞা টা  তো পরিবর্তন ও হতে পারে রাতে দেখা স্বপ্ন যদি খোলা চোখে সত্যি হয়ে যাই ,যদি নিজের শহরে দেখা ভোরের আকাশ টা একটা অচেনা শহরের বা দেশের আকাশের সাথে পরিবর্তিত হয়ে যাই ,এখানে বাস্তবতা হলো আকাশ যেটা তুমি খোলা চোখে দেখছো যেটা তোমার বাস্তবেও আছে আবার স্বপ্নেও বিদ্যমান।                   স্বপ্ন যদি হয় সাফল্যের বাস্তবতা হলো বেঁচে থাকা যদি বেঁচেই না থাকো তবে সাফল্য পাবে কেমন করে।  তোমার স্বপ্ন ছিল নৃর্থশিল্পী হবার ,আর তোমার স্বপ্ন ছিল আর্টিস্ট হবার ,আর তোমার আরে তোমাকেই বলছি তোমার স্বপ্ন কি ছিল বোরো এক্টর হবার তাই না, আরে তোমাকে কেমন করে ভুলতে পারি তোমার তো স্বপ্ন ছিল সেই প্রেমিকাকে বিয়ে করার যার সাথে আগামী কাটানোর সংকল্প করেছিলে তুমি।  সবার স্বপ্ন ভাঙা কাচের মতন টুকরো হয়ে আছে বাস্তব হলো সেই টুকরো এখনো দৃশ্যমান যেই টুকরো দেখে কেউ আজ আফসোস করে চলেছে আবার কেউ চোখের জলে ব্যাক্ত করে চলেছে কেউ চাইছে টুকরো গুলো যত্নে

beauty

                                                             সৌন্দর্য  সুন্দর মুখ , ভালো শরীর , সিল্কি চুল , সিক্স প্যাক এবস , স্টাইলিশ , বাস এই কয়েকটা শব্দ সৌন্দয কে ডিফাইন করে দেয় ।        আর তাদের কি যাদের মুখ এ ব্রণ আছে , গায়ের রং টা খুব বেশি ফর্সা নোই , চুল গুলো অগোছালো , যার অল্প বা বেশ ভালোই ভুরি আছে , যে স্টাইলিশ একদম এ নোই , যার ড্রেসিং সেন্স খুব এ কম , তার মানে সেইসব মানুষ কি সুন্দর নোই ।  কিন্তু আজকাল বাইরের সৌন্দর্য টাই আসল মনের সৌন্দর্যের কোনো দাম এ নেই । সবাই শুধু চাই লোক দেখানো কিছু মুখ যাদের রূপ দেখে এক পলকে মানুষ মুগ্ধ হয়ে যাই ।কোনো চাকরি হোক বা বিয়ের প্রস্তাব একটি জিনিস এ খোজা হয় সৌন্দর্য। ...... এই কারণের অনেক মানুষ ডিপ্রেশন এ ভুগছে কেউ নিজের উপর থেকে কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলেছে ।  কেন এই ডিসক্রিমিনেশন। . ফেরেন্সস ক্রিম এর এড এ কেন ফর্সা মানুষ কেই দেখানো হয় । উত্তর কারোর কাছে নেই  । কিন্তু ডিমান্ড সবার এ আছে ,,, ছেলে যদি কোনো কালো গায়ের রং এর মেয়েকে পছন্দ করে তো তার ফ্যামিলি অনেক সমস্যা হয় অথচ যারা একসাথে সারাজীবন থাকবে তাদের কোনো সমস্যায় নেই     আগে এইটা শুধু বিয়ের ক্ষে

discrimination

                                                              Discrimination  চারিদিকে একটাই কলরব ইকুয়ালিটি  , মানে সবার সমান অধিকার । শুনতে বেশ ভালোই লাগে কিন্তু এর applicability .......... ? কোথায় আছে যদি কিছু বদলাতেই চাও তবে তার শুরু নিজের বাড়ি থেকেই করো।, কিন্তু এই ডিসক্রিমিনেশন তা সবার ক্ষেত্রে এক না । যখন কারোর বিয়ের জন্য পাত্র  পাত্রী দেখা হয় তো অন্যের ছেলে মেয়ে হলে তখন ইকুয়ালিটির কথা বলা টাও নিজের ছেলের জন্য পাশের বাড়ির বৌমার থেকে ফর্সা  একটা মেয়েকে খোঁজে । এই ডিসক্রিমিনেশন কোনো জেন্ডার বেসিস এ হয়না এইটা সবার জীবনেই কোনো না কোনো একদিন ঘটে ।              যদি আপনার লোক্যালিটির মধ্যে কোনো একটা ছেলে বা মেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকরি করে তবে তার কাজ নিয়ে নানারকমের মন্দ কথা শোনা যাই কিন্তু তার পিছনে তার পেরেন্টস এর স্ট্রাগগলে তা কেউ জানতে চাই না । এরকম কোটা মানুষ আছে আপনার আসে পশে যে আনন্দ বোধ করে যে তার সন্তান এর থেকে আপনার বাড়ির ছেলে বা মেয়েটা বেশি যোগ । অন্য কারোর মেয়ে রাতে বাড়ি ফিরলে বা রাস্তায় কারোর সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলে তো তার ক্যারেক্টর খারাপ কিন্তু কিছুদিন পরে জানা যাই তা

ক্যারিয়ার

                                                                            ক্যারিয়ার   প্রতিনিয়ত এই একটা কথা জীবন টাকে পাল্টে দিচ্ছে । আজকাল মানুষ এর বেঁচে থাকার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এই ক্যারিয়ার । কত ছেলে মেয়ে এই ক্যারিয়ার শব্দের যাঁতাকলে পিষছে , কত তো হেরে গিয়ে মৃত্যুকে বেঝে নিয়েছে । যখন প্রথম ক্যারিয়ার শব্দটি শুনেছিলাম মনে হয়েছিল হ্যাঁ এই পথ ধরেই জীবনে দাঁড়াতে পারবো অনেক বড় হবো , কিন্তু আস্তে আস্তে বুজতে পেরেছি এতোটা ও সহজ না জীবনে কিছু করা স্বপ্ন তো সবাই দেখে কিন্তু বাস্তবে রূপান্তরিত করতে ধৈয , সাহস , অপমান শুনেও চুপ থাকার ক্ষমতা , নিজের আত্মসমান বিসর্জন দেয়া আর কিছু ভাঙা স্বপ্ন ।        ছোট থেকেই একটা স্বপ্ন মাথা আর মনের মধ্যে থাকে সেইটা আমাদের ইচ্ছা , কিন্তু আস্তে আস্তে সেই স্বপ্ন ঝাপসা হতে শুরু হয় পরিস্থিতির চাপে আর কিছু অভাবে । যারা শক্তিশালী , সৌর্সফুল যাদের বাবার নামডাক আছে তারাই এখনের যুগে লাঠি ঘোরাবে আর যারা মধ্যবিত্ত কোনো গড ফাদার নেই তারা ফ্রুস্ট্রেশন এর চাপে ফ্যামিলির চিন্তায় আস্তে আস্তে মরছে কেউ সহ্য করে চুপ থেকে মানিয়ে নিয়েছে আর যারা পারে নি তারা আজ অপেক্ষায় যে

INPUT NEGATIVITY (10-09-2020)

                                         INPUT NEGATIVITY  তুই ছাড় তোর দ্বারা হবে না  , আরে তুই তো মেয়ে এসব কাজ কাজ তোর জন্য না , তুমি না পুরুষ এতো কষ্ট কিসের তোমার , মেয়ের বয়স বেশি হলে যে আর বিয়েই হবে না , ছেলে বেশি মেয়ে বন্ধুর সাথে মেসে বিয়ে দিয়ে দাও । আমাদের  প্রাত্যহিক জীবন এসব কথা শুনেই থাকি তার থেকেই শুরু হয় এই নেগেটিভিটি দীর্ঘ দিন এগুলো শুনতে শুনতে কোথাও যেন আমরাও মানতে শুরু করি । প্রথম যখন মা স্বপ্ন দেখেছিলো মেয়েকে স্কুল এ পড়ানোর হাজার মানুষ তখন বিপক্ষে আওয়াজ তুলেছিল যে বেকার টাকা কেন খরচ করবে মেয়ে তো সেইটো পরের বাড়ি চলে যাবে তোমাকে কি আর দেখবে তখন সবকিছুকে উপেক্ষা করে সেদিন সেই মা শুধুমাত্র তার মেয়ের কোথায় ভেবেছিলো তাকে আরো উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেছিল , সে সবার ক্ষেত্রে একটাই জবাব দিয়েছিলো মেয়েদের ও অধিকার আছে চাকরি করার পড়ার আর ও আমাকে দেখুক বা না নিজেকে যেন অন্য কারোর ভরসায় না থাকতে হয় । যদি কারোর একটা সন্তান হয় তখন তাকে বলা হয় আর একটা ছেলে বা মেয়ে নাও তবে ও বুজবে দায়িত্ব। যদি সেই সন্তান মেয়ে হয় তাহলে বলা হয় মেয়ে কি আর সারাজীবন তোমার কাছে থাকবে স

যদি (05-09-2020)

                                                        যদি      যদি জীবনটাকে আরো ভালোভাবে সাজাতে পারতাম , যদি নিত্য শেখার সুযোগটা আবারো একবার ফিরে পেতুম । যদি পাওয়া গুলোকে মূল্য দিতাম , তাহলে মনে হয় না পাওয়া গুলোর তালিকা এতো বাড়তো না । কত যদি থাকে জীবনে ? শেষের কবিতা হয়ে হারিয়ে যাবে একদিন মৃত্যুর শিখাই পুড়ে । যদি আর একবার সুযোগ পেতাম অঙ্কন টা শেখার , যদি আর একবার পেতুম ফিরে দাদুর স্নেহের হাত । যদি পারতাম সাহিত্য টাকে আরো ভালো করে জানতে , ইচ্ছা গুলোকে মহত্ব দিতাম মিথ্যার পিছনে না ছুটে । যদি সারা দিতাম  সেইদিন তার সেই ডাকে , হয়তো সে আজ আমার হতো চিরদিনের তরে । পারতাম যদি মুছে দিতে পুরোনো সেই ভুলগুলো, করতুম শুরু নতুন করে হারানো সেই দিনগুলো । অগোছালো জিনিসগুলো নিতাম যদি গুছিয়ে , হয়তো বা থাকতাম সুখী , কেটে যেত আফসোস গুলো । ভাবলে আজ কষ্ট হয় হারানো সেই পছন্দের মানুষগুলো , তারা হয়তো আছে ভালোই , ভুলেই গেছে স্মৃতি গুলো । যদির এই লড়াই এ দৌড়াচ্ছি আমি বুঝি একাই, কেউ তো করে না জিজ্ঞেস মনের সেই দুঃখ গুলো ।  রাত পেরোলেই আবার জীবন চলবে নিজের মতোই , ক্ষনিকের এই ব্যাকুলতায় যাবে না কিছুই কারো । মানিয়ে নেব